এক টুকরো ফিটকিরিতেই বদলে যাবে আপনার ভাগ্য
জীবনে চলার পথে আমরা প্রায়ই বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হই। এর মধ্যে কোনটি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারি, আবার কোনটি থেকে বেরুতে না পেরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগি। কিন্তু মনে রাখতে হবে জীবনে বিপদ আসবেই, কিন্তু তাতে ভেঙ্গে পড়লে চলবেনা। মনের মধ্যে সাহস সঞ্চয় করে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রিয় পাঠক, “বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।” এই কথাটি যদি আপনি বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে আমাদের আজকের আয়োজনটি আপনার জন্য।
আরো পড়ুনঃ এক চিমটে লবণেই ফিরতে পারে আপনার ভাগ্য
একজন ব্যক্তির জীবনে বিভিন্ন গ্রহ শুভ ও অশুভ প্রভাব বিস্তার করে বলে বিশ্বাস করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই অশুভ প্রভাবে জীবনে নানা সমস্যা দেখা দেয়। জ্যোতিষ ও বাস্তুশাস্ত্রবিদরা বিশ্বাস করেন, সামান্য ফিটকিরি যেকোন অশুভ ও নেতিবাচক শক্তিকে দূরে সরিয়ে জীবনে উন্নতির পথ সুগম করতে পারে।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে কীভাবে ফিটকিরি ব্যবহারে করে যেকোন সমস্যার সমাধান করা যায়।
১। চাকরী বা ব্যবসাক্ষেত্রে অনেক পরিশ্রম করেও আপনি কী সফলতার মুখ দেখতে পাচ্ছেন না? যদি এমনটি হয়, একটি কালো কাপড়ের মধ্যে এক টুকরো ফিটকিরি বেঁধে বাড়ির সদর দরজায় ঝুলিয়ে রাখুন। এর ফলে আপনার জীবনে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব কমে আসবে এবং জীবনে উন্নতির দেখা পাবেন।
আরো পড়ুনঃ বাড়ির সদর দরজায় স্বস্তিক বা গণেশের ছবি টাঙানো হয় কেন?
২। বাথরুম বা স্নানঘরে একটি পাত্রে সামান্য ফিটকিরি রাখলে, তা বাড়ির সকল নেগেটিভ এনার্জিকে নিজের মধ্যে নিংড়ে নেয়। ফলে আপনার পরিবার ও পেশাগত ক্ষেত্রে সকল সমস্যা কেটে যাবে। প্রতি মাসে একবার ফিটকিরি বদলে দেবেন।
৩। নজর লাগা ব্যাপারটিতে অনেকেই বিশ্বাস করেন। এক্ষেত্রে পা থেকে মাথা পর্যন্ত সাতবার ফিটকিরি ঘষে, সেই ফিটকিরির টুকরো আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে কারো নজর লাগা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।
৪। একটি মাঝারি সাইজের ফিটকিরি টুকরো করে সেটা ঘরের বিভিন্ন কোনায় ছড়িয়ে দিন। এতে বাড়ির নেগেটিভ এনার্জি প্রশমিত হয়।
৫। যারা ঘুমের মধ্যে নিয়মিত ভয়ংকর স্বপ্ন দেখেন, তাঁরা শোওয়ার সময় মাথার কাছে এক টুকরো ফিটকিরি রাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এর ফলে ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়ে প্রশান্তির ঘুম হবে।
আরো পড়ুনঃ চাণক্য নীতি অনুসারে, কোন ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আগে জেনে নিন এই চারটি বিষয়