গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। শপথ নেয়ার আগে-পরে হোয়াইট হাউজের প্রশাসনিক কাঠামোতে ব্যাপক রদ-বদল করেছেন বাইডেন। বাইডেন প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব লাভ করেছেন প্রায় ২০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি। এদের মধ্যে ১২ জন আবার হিন্দু ধর্মানুসারী। আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো এতো বড় সংখ্যক হিন্দু কর্মকর্তাগণ নিয়োগ পেলেন।
চলুন এক ঝলকে দেখে নিই বাইডেন প্রশাসনে সদ্য যুক্ত হওয়া ১২ জন হিন্দু ধর্মানুসারীদের সম্পর্কে কিছু তথ্য।
নীরা ট্যান্ডেনঃ হোয়াইট হাউজ অফিস অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড বাজেট এর পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নীরা ট্যান্ডেন। এই প্রতিষ্ঠান মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও তদারকিতে সাহায্য করে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো, নীতি, বাজেট, পরিচালনা, এবং নিয়ন্ত্রণমূলক উদ্দেশ্য পূরণে রাষ্ট্রপতিকে সহায়তা করা।
ড. বিবেক মূর্তিঃ ‘The surgeon general of the United States’ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডক্টর বিবেক মূর্তি। পদাধিকার বলে তিনি U.S. Public Health Service Commissioned Corps (PHSCC) এর অপারেশনাল হেড। এছাড়া পাবলিক হেলথ বিষয়ক আমেরিকার ফেডারেল সরকারের প্রধান মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
বানিতা গুপ্তাঃ বাইডেন প্রশাসনে সহযোগী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বানিতা গুপ্তা। এর আগে তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল’ এর অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আইশা শাহঃ হোয়াইট হাউজ অফিস অব ডিজিটাল স্ট্র্যাটেজি-তে স্থান পেয়েছেন আইশা শাহ। তিনি পার্টনারশীপ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। আইশা এর আগে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে ডিজিটাল পার্টনারশীপ ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন। বাইডেন প্রশাসনে যুক্ত হওয়ার আগে তিনি স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনে এডভান্সমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করতেন।
গৌতম রাঘবানঃ Deputy Director in Office of Presidential Personnel হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন গৌতম রাঘবান। এর আগে তিনি ওবামা প্রশাসনেও কাজ করেছিলেন।
ভারত রামামূর্তিঃ White House National Economic Council এর ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভারত রামামূর্তি। রামামূর্তি রোজভেল্ট ইনস্টিটিউটের কো-অপারেট পাওয়ার প্রোগ্রামে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া ২০২০ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যাম্পেইনের সময় তিনি সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনের economic adviser হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিনয় রেড্ডিঃ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্পিচরাইটিং বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিনয় রেড্ডি। এর আগে ওবামা প্রশাসনের ২য় মেয়াদে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জো বাইডেনের প্রধান স্পিচ রাইটার হিসেবে কাজ করেছিলেন বিনয় রেড্ডি।
তরুণ ছাবরাঃ National Security Council এর Technology and National Security বিভাগের সিনিয়র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তরুণ ছাবড়া। এর আগে তিনি ব্রুকিং ইনস্টিটিউশনে Center for Security, Strategy, and Technology-তে অনাবাসিক ফেলো হিসেবে কাজ করছিলেন।
সুমনা গুহঃ বাঙালি বংশোদ্ভূত সুমনা গুহ বাইডেন প্রশাসনে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে তিনি বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে South Asia foreign policy working group এর সাথে কাজ করেছেন।
শান্থি কালাথিল: Coordinator for Democracy and Human Rights হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শান্থি কালাথিল। তিনি মিডিয়া, সমাজ ও রাজনৈতিক রূপান্তর বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন যাবত।
বেদান্ত প্যাটেলঃ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণার সময় রিজিওনাল কমিউনিকেশন ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গরিমা ভার্মাঃ মার্কিন ফার্স্ট লেডি ডক্টর জিল বাইডেনের ডিজিটাল ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গরিমা ভার্মা। তিনি বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে অডিয়েন্স ডেভেলাপমেন্ট এন্ড কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন।