পৃথিবীর একমাত্র মন্দির যেখানে হনুমানজি পূজিত হন স্ত্রী বেশে
ভারতের কম আলোচিত ও অথচ গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য ছত্তিশগড়। এই রাজ্যের রতনপুরে একটি ছোট্ট মন্দির রয়েছে যেখানে হনুমানজি নারীরূপে পূজিত হন। কী আশ্চর্য হচ্ছেন তো? তবে চলুন একটু ঝেড়ে কাশা যাক।
হনুমানজির এই মন্দির ছত্তিশগড় রাজ্যের রতনপুর জেলার গীর্জাবন্ধে অবস্থিত। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন রতনপুরের স্থানীয় রাজা পৃথ্বী দেবজু। রাজা পৃথ্বী ছিলেন একজন কুষ্ঠরোগী। কথিত আছে, এই স্থানে মন্দির নির্মাণ করার জন্য তিনি হনুমানজির কাছ থেকে স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন।
আরো পড়ুনঃ ভারতের এই রহস্যময় মন্দির বছরের ৮ মাস জলের তলায় থাকে
হনুমানজির স্বপ্নাদেশ পেয়ে পৃথ্বী দেবজু মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মন্দিরের নির্মাণকাজ যখন শেষ পর্যায়ে, তখন হনুমানজি আবার পৃথ্বীকে স্বপ্নে দেখা দেন। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী মহামায়া কুণ্ডে জলের নিচে রয়েছে তাঁর মূর্তি। সেই মূর্তিটি উদ্ধার করে মন্দিরে স্থাপন করার নির্দেশ দেন হনুমানজি।
পরদিন সেই মূর্তি তোলা হলে সবাই ভীষণ আশ্চর্য হয়ে গেলেন। দেখা গেল হনুমানজি সেখানে স্ত্রী অবতারে আছেন। তাঁর এক কাঁধে আছেন রামচন্দ্র, আরেক কাঁধে সীতাদেবী। পায়ের কাছে আছে পদানত দুই রাক্ষস।
রাজা মূর্তিটি উদ্ধার করে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। মন্দিরে মূর্তি প্রতিষ্ঠার কিছুদিনের মধ্যেই রাজার কুষ্ঠরোগ ভালো হয়ে যায়। সেই থেকে আজ অবধি হনুমানজির কৃপা লাভের আশায় এই মন্দিরে ছুটে আসেন।
কখন যাবেন রতনপুর হনুমান মন্দিরে?
ছত্তিশগড়ের রতনপুরে গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা অনেক বেশী। কাজেই গ্রীষ্মকালে এই মন্দিরে না যাওয়াই ভালো। হনুমানজির এই মন্দিরে যাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে অক্টোবর থেকে মার্চ। এ সময় তাপমাত্রা শীতল ও সহনীয় পর্যায়ে থাকে।