ভারতের একমাত্র রহস্যময় জাদু মন্দির, যেখানে ভূতের দেখা পাওয়া যায়!
ভূত নিয়ে সবারই কম বেশী ভয়-রোমাঞ্চ আছে। কিন্তু কখনো ভাবতে পেরেছেন ভূতের জন্যই আছে আস্ত একটা মন্দির। কী চমকে গেলেন তো! খোদ আমাদের ভারতেই রয়েছে সেই মন্দির। রাজস্থানের দওসা জেলার একটি প্রাচীন মন্দির শ্রী মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দির। স্থানীয়দের কাছে মন্দিরটি “ভূত ঝাড়ানোর মন্দির” নামেই বেশী পরিচিত।
নিচের ভিডিও থেকে এই প্রতিবেদনটি ডকুমেন্টারি ভিডিও আকারে দেখে নিতে পারেন।
ভারত মন্দিরের দেশ। ভারতের রহস্যময় মন্দির গুলোর মধ্যে অন্যতম রাজস্থানের মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দির। শোনা যায় এই মন্দিরের প্রবল আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে। ঘোর নাস্তিকও নাকি এই মন্দিরে এলে আস্তিকে পরিণত হয়ে যায়। যতো সাহসী ব্যক্তিই হোন না কেন, এই মন্দিরে এলে বুক কেঁপে উঠবেই। এছাড়া একজন মানুষকে নাকি আজীবনের জন্য বদলে দিতে পারে এই মন্দির।
আরো পড়ুনঃ পদ্মনাভস্বামী মন্দির! এই মন্দিরের একটি দরজা খুললেই ধ্বংস হয়ে যাবে এই পৃথিবী!
এই মন্দিরে ঢোকা ততোটা সহজ নয়। রীতিমতো স্নায়ুর জোর না থাকলে, এই মন্দিরের ধারে-কাছে যাওয়ার একদম চেষ্টা করবেন না। প্রতিদিন অনেক অনেক ভক্ত বালাজি মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তবে সম্পূর্ণ মন্দির পরিক্রমা শেষ করার আগেই প্রাণভয়ে অধিকাংশ বেরিয়ে আসেন।
মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দিরে তিনটি বিগ্রহের পূজা হয়। বালাজি, কাল ভৈরব ও প্রেতরাজ। লোক বিশ্বাস মতে, কারোর ওপর অশুভ শক্তি ভর করলে এই মন্দিরে তা দূর করা সম্ভব।
মধ্যরাত থেকে এই মন্দিরে প্রবেশের জন্য লাইন শুরু হয়ে যায়। এই ভিড় এতোটাই ভয়ানক যে, যেকোন সময় যে কেউ পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে। যদি এই প্রচন্ড ভিড় সহ্য করতে পারেন, তাহলে বেশ কয়েক ঘন্টার প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। এই মন্দিরে পূজোর উপকরণ হিসেবে কালো রঙের এক ধরণের বল দেয়া হয়। মন্দিরের ভেতরে অবিরত জ্বলতে থাকা অগ্নিকুন্ডে বলটি আহুতি দিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ তিরুপতি বালাজি মন্দিরের অলৌকিক ইতিহাস ও অজানা কাহিনী!
এই মন্দিরের ভেতর থেকে মন্ত্রোচ্চারণ বা ঘন্টা ধ্বনির বদলে ভেসে আসবে মানুষের কান ফাটানো তীক্ষ্ণ চিৎকার ও কান্নার শব্দ। আপনি যতোই সাহসী হোন, এই মন্দিরে প্রবেশ মাত্রই আপনার গা ছমছম করবে। মন্দিরের প্রথম ঘরে কাল ভৈরবের মূর্তি অধিষ্ঠিত। এখানেই জ্বলতে থাকা অগ্নিকুন্ডে কালো বল ছুঁড়ে দিতে হবে। এরপরের ঘরে হনুমানজি। হনুমানজির আশীর্বাদ নিয়ে এগিয়ে যান পরবর্তী ঘরের দিকে। এখান থেকেই অস্বস্তিকর ভয় আপনাকে ঘিরে ধরবেই।
এই ঘরে দেখতে পাবেন, অসংখ্য নারী-পুরুষ অসহায়ভাবে কান্না করছে এবং দেওয়ালে মাথা ঠুকছে। এমনকি বহু লোক নিজের গায়ে ফুটন্ত গরম জল ঢালছে। এর পরের ঘরের ভয়াবহতা আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাবে। মানসিকভাবে দূর্বল ব্যক্তিরা এখান থেকে ছোট একটি দরজার মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারবেন। এই ঘরটিকে ‘নরকের দ্বার’ বলা যেতে পারে।
এই ঘরে অসংখ্য শিশু, নারী-পুরুষকে ঘরের পিলারের সাথে মোটা চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে এবং তাদের হিংস্রভাবে আঘাত করা হচ্ছে। বলা হয় এভাবে তাদের ওপর থেকে অশুভ শক্তির প্রভাব কাটানো হচ্ছে।
তো কী ভাবছেন? যাবেন নাকি একবার মেহেন্দিপুর বালাজি মন্দিরে?
আরো পড়ুনঃ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যে সকল বিখ্যাত ব্যক্তিদের ঢুকতে দেয়া হয়নি!