ভারতের এই রহস্যময় মন্দির বছরের ৮ মাস জলের তলায় থাকে
ভারতের রহস্যময় মন্দিরগুলোর একটি ‘বাথু কি লড়ি’ মন্দির। জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট আট মাস এই মন্দির জলের তলায় থাকে। বাথু নামক এক প্রকার শক্ত পাথর দিয়ে তৈরী বলে এতো দীর্ঘ সময় জলে ডুবে থাকা সত্ত্বেও এই মন্দিরের কোন ক্ষতি হয়না।
হিমাচল প্রদেশের কাংড়া উপত্যকার ধামেতা শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে এই মন্দিরটির অবস্থান। এই মন্দিরে যাওয়ার জন্য প্রথমে কাংড়া থেকে গাড়ি করে ধামেতা বা জাবালী নামক গ্রামে যেতে হয়।
মন্দিরটি আদতে বিষ্ণু মন্দির হলেও, মন্দিরের পাথরের দেয়ালে খোদাই করা আছে মা কালী ও সিদ্ধিদাতা গণেশের মূর্তি। মন্দিরের অভ্যন্তরে দেখা যায় শেষনাগের উপরে বিশ্রামরত ভগবান বিষ্ণুকে।
আরো পড়ুনঃ অজ্ঞাতবাসের সময় পাকিস্তানের এই শিব মন্দিরেই নাকি আত্মগোপন করেছিলেন পঞ্চপাণ্ডব
‘বাথু কি লড়ি’ মূল মন্দিরের সঙ্গে রয়েছে ছোট ছোট আরো ছয়টি মন্দির। মন্দিরের পাশেই রয়েছে উঁচু একটি টাওয়ার। এই মন্দির নির্মাণের সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়না। অনেকের বিশ্বাস মহাভারতের পাণ্ডব ভ্রাতারা তৈরি করেছিলেন এই মন্দির। এখান থেকেই স্বর্গে যাওয়ার সিঁড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিলেন পঞ্চপাণ্ডব কিন্তু তা শেষ করতে পারেননি।
এই মন্দির জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জলের নিচে থাকে। শুধুমাত্র মার্চ থেকে জুন মাসের মধ্যে মন্দিরটি ভেসে ওঠে। বছরের অন্যান্য সময় হৃদের জলের নিচে ডুবে থাকে মন্দিরটি। চার মাসের জন্য বাথু মন্দির যখন ভেসে ওঠে, তখন দর্শনার্থীরা ভিড় জমান মন্দির দর্শনের জন্য।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এই মন্দিরে একটি শিবলিঙ্গ স্থাপন পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। হিমাচলের এই অঞ্চলে বিপাশা নদীর উজানে তৈরী হয়েছে পং ড্যাম। এই বাঁধের কারণে এখানে তৈরী হয়েছে একটি হ্রদ, যার নাম মহারান প্রতাপসাগর হ্রদ। প্রতিবছর শীতকালে এখানে দেখা যায় দুশোটির বেশী প্রজাতির পরিযায়ী পাখি।
আরো পড়ুনঃ কেরালার হাজার বছরের প্রাচীন মন্দির পাহারা দেয় নিরামিশাষী কুমির