জানলে অবাক হবেন পূর্বজন্মে মহাবীর কর্ণ ছিলেন রাক্ষস, নাম ছিল দাম্বোদভব
জানলে অবাক হবেন পূর্বজন্মে মহাবীর কর্ণ ছিলেন রাক্ষস, নাম ছিল দাম্বোদভব
মহাবীর কর্ণ, দানবীর কর্ণ, ট্র্যাজিক হিরো কর্ণ। মহাভারতের অন্যতম প্রধান চরিত্র কর্ণের এইসব পরিচয় তো আপনি নিশ্চয় জানেন? কিন্তু রাক্ষস কর্ণ? এর কথা শুনেছেন কখনও? হ্যাঁ মহাভারত অনুযায়ী, কুন্তীর গর্ভে সূর্যপুত্র হিসেবে জন্মানোর আগে পূর্বজন্মে রাক্ষস ছিলেন কর্ণ!
পূর্বজন্মে মহা শক্তিধর এক রাক্ষস ছিলেন কর্ণ। নাম ছিল দাম্বোদভব। সূর্যের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন তিনি। সূর্যের বরে এক হাজার কবচ লাভ করেছিলেন দাম্বোদভব। এই কবচ ধ্বংস না করে দাম্বোদভবর প্রাণ নেওয়া সম্ভব ছিল না। কবচগুলির বিশেষত্ব ছিল যে একবারে একটির বেশি কবচ ধ্বংস করা যাবে না। এক হাজার বছর ধরে পূজার্চনা করেছে, একমাত্র এমন কেউ এই কবচ ধ্বংস করতে পারবে। একটি কবচ নষ্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসকারীর প্রাণ যাবে।
আরো পড়ুনঃ ভারতের এই গুহায় বসে মহাভারত লিখেছিলেন ব্যাসদেব! আপনিও যেতে পারেন সেখানে!
এই কবচের জোরে গোটা পৃথিবীর ওপর আতঙ্ক ছড়িয়ে বেড়াত দাম্বোদভব। সে হয়ে উঠেছিল অপরাজেয়। শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে দেখা হয় দুই ব্যক্তির। একজনের নাম নর, অন্যজন নারায়ণ। দাম্বোদভব যেমন অশুভ শক্তির প্রতীক, এই দু-জন তেমনই শুভশক্তির প্রতীক। এরা একজন একজন করে দাম্বোদভবর সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে। একজন যখন যুদ্ধ করে, অন্যজন তখন ঈশ্বরের আরাধনা করতে থাকে।
এক হাজার বছর ধরে যুদ্ধ করে দাম্বোদভবর একটি করে কবচ ধ্বংস করতে পারেন নর-নারায়ণ। একটি কবচ ধ্বংস হলেই নর ও নারায়ণের মধ্যে যে যুদ্ধ করছিল, তার মৃত্যু হয়। অন্যজন হাজার বছরের পূজার্চনার শক্তিতে তাকে বাঁচিয়ে দেয়। এবার সে যুদ্ধ করতে শুরু করে, অন্যজন ঈশ্বর আরাধনায় মন দেয়। এই ভাবে ৯৯৯টি কবচ ধ্বংস হয়। যখন আর মাত্র একটি কবচ অবশিষ্ট, তখন দাম্বোদভব ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।
সে গিয়ে সূর্যের কাছে আত্মগোপন করে। সূর্য নিজের একনিষ্ঠ ভক্তের অনুরোধ ফেরাতে না পেরে তাকে কুন্তীর গর্ভে স্থাপন করেন। কর্ণরূপে জন্ম হয় দাম্বোদভবর। অন্যদিকে নর-নারায়ণ অর্জুন রূপে কুন্তীর গর্ভেই জন্মলাভ করে। এই ভাবে নিজেদের অমীমাংসিত যুদ্ধ সম্পূর্ণ করে দাম্বোদভব এবং নর-নারায়ণ।
আরো পড়ুনঃ সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ১০ হিন্দু মন্দির