জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা ২০২১ কবে?
এক ঝলকে দেখে নিন জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা ২০২১ কবে?
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা ২০২১ কবে?
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা ২০২১ পালিত হবে আগামী ৯ই আষাঢ় ১৪২৮, ২৪ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার।
স্নানযাত্রা কেন পালন করা হয়?
স্নানযাত্রা হলো সনাতন ধর্মের পবিত্র একটি উৎসব। জগন্নাথদেবের ভক্তদের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এ দিনটিকে শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের জন্মতিথি হিসেবে মনে করা হয়। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে সাধারণত জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালন করা হয়।
পুরীতে স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা, সুদর্শন চক্র ও মদনমোহন বিগ্রহকে জগন্নাথ মন্দির থেকে স্নানবেদীতে বের করে আনা হয়। সেখানে তাদের প্রথাগতভাবে স্নান করানো হয় এবং ভক্তদের দর্শনের জন্য সুন্দর বেশভূষায় সজ্জিত করা হয়।
শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের ভক্তদের বিশ্বাস, সেদিন যদি তারা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে দেবতাকে দর্শন করতে যান, তবে তারা সকল পাপ থেকে মুক্ত হতে পারবেন। এ জন্য অসংখ্য ভক্ত স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে পুরীর মন্দির দর্শনে যান। স্কন্দপুরাণম্ বলা হয়েছে, পুরীর মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই প্রথম বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন।
স্নানযাত্রা কীভাবে পালন করা হয়?
স্নানযাত্রার পূর্বসন্ধ্যায় জগন্নাথ, বলভদ্র, সুভদ্রা, সুদর্শন চক্র ও মদনমোহনের বিগ্রহ একটি বিশাল শোভাযাত্রা সহকারে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বের করে স্নানবেদীতে এনে রাখা হয়। ভক্তরা এই সময় জগন্নাথকে দর্শন করতে আসেন।
স্নানযাত্রার দিন মন্দিরের উত্তর দিকের কূপ থেকে জল এনে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে শুদ্ধিকরণ করা হয়। তারপর ১০৮ টি কলসে সেই জল নিয়ে বিগ্রহসমূহকে স্নান করানো হয়
সেই দিন সন্ধ্যাবেলা স্নানপর্বের সমাপ্তির পর জগন্নাথ ও বলভদ্রকে গণেশের রূপে সাজানোর জন্য হস্তীমুখ-বিশিষ্ট মস্তকাবরণী পরানো হয়। জগন্নাথের এই রূপটিকে বলা হয় ‘গজবেশ’।
প্রথাগত বিশ্বাস অনুসারে, স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময় তাকে রাজবৈদ্যের চিকিৎসাধীনে গোপনে একটি সংরক্ষিত কক্ষে রাখা হয়। জগন্নাথের এই অসুস্থতার পর্যায়টি ‘অনসর’ নামে পরিচিত। এই সময় ভক্তেরা দেবতার দর্শন পান না। তাদের দর্শনের জন্য বিগ্রহের পরিবর্তে মূল মন্দিরে তিনটি পটচিত্র রাখা হয়।
এই সময় ভক্তেরা ব্রহ্মগিরিতে অলরনাথ মন্দিরে যান। তারা বিশ্বাস করেন, অনসর পর্যায়ে জগন্নাথ অলরনাথ রূপে অবস্থান করেন। কথিত আছে, রাজবৈদ্যের আয়ুর্বৈদিক ‘পাঁচন’ খেয়ে এক পক্ষকালের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তারপর ভক্তেরা আবার তাকে আবার দর্শন করতে পারেন।