অম্বুবাচী ২০২২ কবে? অম্বুবাচী কেন পালন করা হয়?
বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে, "কিসের বার কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।"
অম্বুবাচী ২০২২ কবে?
অম্বুবাচী ২০২২ পালিত হবে আগামী ০৭ আষাঢ় ১৪২৯, ২২ জুন ২০২২, বুধবার।
অম্বুবাচী কী?
অম্বুবাচী সনাতন হিন্দুধর্মের একটি বাৎসরিক উৎসব। লোকবিশ্বাস অনুসারে, আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী তথা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হন। এই সময়েই অম্বুবাচী পালন করা হয়।
বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে, “কিসের বার কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।” এদিন থেকেই অম্বুবাচী শুরু হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সূর্য যে বারের যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়। অর্থাৎ পৃথিবী এই সময়ে ঋতুমতী হন।
অম্বুবাচী কীভাবে পালন করা হয়?
অম্বুবাচীর তিন দিন পর্যন্ত কোনো ধরনের মাঙ্গলিক কাজ করা যায়না। চতুর্থ দিন থেকে মাঙ্গলিক কাজে কোনো বাধা থাকেনা। অম্বুবাচীর সময় হাল ধরা, গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ইত্যাদি শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ থাকে ও এই সময়ে মঠ-মন্দিরের প্রবেশদ্বার বন্ধ থাকে।
পঞ্জিকা মতে আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ, এই চার দিন গ্রাম-বাংলার মহিলারা এই অনুষ্ঠান পালন করেন। অম্বুবাচী চলাকালীন সব ধরণের চাষাবাদ বন্ধ থাকে। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে পিঠা-পায়েস বানানোর রীতি রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বিধবা মহিলারা তিন দিন ধরে ব্রত রাখে। অম্বুবাচীর আগের দিন রান্না করা খাবার তারা তিন দিন ধরে খান। ঐ তিন দিন তারা কোন গরম খাবার খান না। এই তিন দিন কামরুপ কামাখ্যায় পূজা হয়। সমস্ত দেবী মন্দির বন্ধ থাকে। কামরুপ কামাহ্মায় মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে লাল রং এর তরল (ভক্ত রা বলে মা এর রজস্রাবের রক্ত) বের হয়।
উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে অবস্থিত বিখ্যাত কামাখ্যা মন্দিরে এই উপলক্ষে দেবীর ঋতুকাল সমাগত মনে করে উৎসব পালন করা হয়। সূর্যের দক্ষিণায়নের দিন থেকে তিন দিন অর্থাৎ আষাঢ়ের ৭ তারিখ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে এই পার্বণের পালন কাল।
ওড়িশায় এই পার্বণকে সরাসরি ‘রজ উৎসব’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে।