আফ্রিকার দেশ কঙ্গো-তে হিন্দু ধর্ম যেভাবে বিস্তার লাভ করলো!
কঙ্গোতে হিন্দু ধর্ম
মধ্য আফ্রিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। আয়তনের দিক দিয়ে কঙ্গো বিশ্বে একাদশ এবং আফ্রিকা মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। পূর্বে এটি জায়ার নামে পরিচিত ছিল। দেশটি ১৯৬০ সালের ৩০ জুন বেলজিয়ামের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
সনাতন পন্ডিতের আজকের আয়োজন থেকে আমরা গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে হিন্দু ধর্মের ইতিহাস, জীবনাচরণ ও মন্দির সম্পর্কে জানবো।
আরো পড়ুনঃ ইতালি থেকে মেক্সিকো, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রামায়ণ ও রামের অস্তিত্ব
কঙ্গো অববাহিকার এই দেশটিতে মানব বসতির ইতিহাস প্রায় ৯০ হাজার বছর। বিশাল এই দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা মাত্র ১০ কোটি। কঙ্গোর জনসংখ্যার প্রায় ৭৯ ভাগ খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। এছাড়া দেশটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইসলাম, হিন্দু ও ট্র্যাডিশনাল আফ্রিকান ধর্মানুসারী বসবাস করছে।
কঙ্গোতে বসবাসরত বর্তমান হিন্দু জনসংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষ। পশ্চিমা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো কঙ্গোর বেশীর ভাগ হিন্দু অভিবাসী হিন্দু। কঙ্গোর হিন্দুদের অধিকাংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। গুজরাট, কেরালা ও অন্যান্য দক্ষিণী রাজ্যগুলোর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু কঙ্গোতে বাস করেন। বেশীর ভাগ হিন্দু কঙ্গোর রাজধানী কিনহাসাতে বাস করেন।
আরো পড়ুনঃ আফ্রিকার দেশ ঘানায় হিন্দু ধর্ম কীভাবে বিস্তার লাভ করলো?
ইসকনের হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের সূত্র ধরে কঙ্গোর স্থানীয় অধিবাসীদের অনেকেই সনাতন ধর্মের ছায়াতলে আসতে শুরু করেছে। কঙ্গোর রাজধানী কিনহাসাতে ইসকনের একটি মন্দির রয়েছে। এছাড়া ‘দ্য কঙ্গো হিন্দু মন্ডল’ নামে একটি হিন্দু সংগঠন কিনহাসাতে ‘Congo Hindu Temple Kinshasa’ নামে একটি মন্দির নির্মাণ করেছে।কঙ্গোর হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দিওয়ালী এবং হোলি। এছাড়া ইসকনের উদ্যেগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অনুষ্ঠান এখানে পালিত হয়। কঙ্গোর হিন্দুরা ব্যবসা-বাণিজ্য, ম্যানুফ্যাকচারিং সহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে।
লেখাটি ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে কিন্তু একদম ভুলবেন না।
আরো পড়ুনঃ হিন্দু ধর্ম যেভাবে ইতালির অন্যতম প্রধান ধর্ম হয়ে উঠলো!