যে হনুমান মন্ত্র পাঠ করলে শ্রীলঙ্কায় আজও দেখা দেন হনুমানজি
হনুমান মন্ত্র! পবনপুত্র হনুমানের বিনাশ নেই, তিনি চির শাশ্বত। হিন্দু পুরাণ থেকে জানা যায়, পৃথিবীতে যতদিন ভগবান রামের মহিমা থাকবে, ততদিন হনুমানও থাকবেন। বিভিন্ন সাধক পুরুষ বিভিন্ন সময় হনুমানের দর্শন পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম শ্রী সত্য সাঁই বাবা, রামদাস স্বামী, মাধবাচার্য, রামেন্দ্র স্বামী প্রভৃতি। এমনকি এও শোনা যায়, স্বয়ং হনুমানই নাকি ষোড়শ শতকে তুলসীদাসকে হিন্দিতে রামায়ণ লিখতে বলেন।
দুই যুগের দুই মহাকাব্য রামায়ণ ও মহাভারতে আছেন হনুমান। রামচন্দ্রের মানব জন্মের অবসান ঘটলে হনুমান বিভীষণের রাজ্য লঙ্কায় চলে যান। তিনি বাস করতে শুরু করেন শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ পর্বত পেদ্রোতালাগালায়। সেখানে এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের সেবা ও পুজায় তুষ্ট হন তিনি।
আরো পড়ুনঃ কেদারনাথ মন্দির সম্পর্কে ১০টি অজানা তথ্য
সেই আদিবাসীদের হনুমান একটি গোপন মন্ত্র শিখিয়ে দেন। এই মন্ত্র জপ করলে ভক্তের সামনে আবির্ভূত হন হনুমান। মন্ত্রটি হলো, “কালতন্তু কারেচরন্তি এনর মরিষ্ণু, নির্মুক্তার কালেত্বম অমরিষ্ণু।
ভগবান হনুমানের সাথে আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে এমন যে কেউ এই মন্ত্র জপ করলে হনুমানজির দেখা পাবেন। বলা হয়ে থাকে এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রত্যেক প্রজন্ম যাতে সেই আত্মজ্ঞান পান, তাঁর জন্য হনুমানজি প্রতি ৪১ বছর অন্তর অন্তর তাঁদের মাঝে আবির্ভূত হন।
দীর্ঘদিন মানবচক্ষুর আড়ালে থাকা এই আদিবাসী সম্প্রদায়কে পেদ্রোতালাগালার ঘন অরণ্য থেকে আবিষ্কার করেন কয়েকজন অভিযাত্রী। অভিযাত্রীরা এই সম্প্রদায়ের মধ্যে অদ্ভুত আচার-আচরণ প্রত্যক্ষ করেন। এই গোষ্ঠী প্রধানকে নাকি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম একটি লগবুক রক্ষা করে চলতে হয়েছে। সেই খাতা এখন ‘সেতু এশিয়া’ নামক সংস্থার কাছে। তারা সেই খাতার লিপির পাঠোদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আরো পড়ুনঃ তারাপীঠকে কেন মহাপীঠ বলা হয়?
এখন পর্যন্ত তিনটি অধ্যায়ের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেখান থেকে জানা যায়, হনুমানজি বেশ কয়েকবার তাঁদের মাঝে আবির্ভূত হয়েছেন। সেই খাতা থেকে জানা যাচ্ছে হনুমানজি ২০১৪ সালে সর্বশেষ তাঁদের মধ্যে এসেছিলেন। ফের আসবেন ২০৫৫ সালে। তবে পরম ভক্তকেই তিনি দেখা দেন। অন্যদের কাছে তিনি অদৃশ্য। এই হনুমান মন্ত্র পাঠ করে আপনি দেখবেন নাকি একবার!