কৃষ্ণ কথাপৌরানিক কাহিনী

কলিযুগের শেষেই কি সর্বনাশ! কী অপেক্ষা করছে মর্ত্যবাসীর জন্য?

কোন প্রেক্ষাপটে শ্রীমদ্ভাগবদগীতার সৃষ্টি হয়েছিল তা আমরা কম-বেশী সবাই জানি। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ময়দানে আবেগতাড়িত অর্জুন আত্মীয়দের সাথে এই প্রাণঘাতী যুদ্ধ করতে চাননা বলে নিজ অস্ত্র পরিত্যাগ করেন। তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বিশ্বরূপদর্শন পূর্বক এই যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা ও জীবনের নানা আঙ্গিক বোঝান।

শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত সেই বাণী পরবর্তীকালে শ্রীমদ্ভাগবতগীতা রূপে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়েছে। শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুনের সেই কথোপকথন চলাকালীন সময় থেমে গিয়েছিল। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর শ্রীকৃষ্ণের নশ্বর দেহত্যাগের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল দ্বাপর যুগ। অতঃপর শুরু হয়েছিল কলি যুগ।

আরো পড়ুনঃ ভারতের এই দুর্গা মন্দিরে পুরুষ ভক্তদের নারীবেশে পুজো দিতে হয়

বৈদিক শাস্ত্র মতে, কলিযুগ যখন শীর্ষে পৌছাবে তখন পৃথিবীতে ব্যাপক ধ্বংসলীলা শুরু হবে। মানুষে মানুষে সংঘাতের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগেও নাকাল হবে বিশ্ব। ইঙ্গিতে স্পষ্ট যে, সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যাবে আমাদের প্রিয় এই জগত।

কিন্তু এরপর কী হবে?

মনে করা হয় কলিযুগের শেষে আবারও থেমে যাবে সময় অর্থাৎ মহাকাল। ব্যাপক ধ্বংসলীলা শেষে সমগ্র বিশ্ব এক অন্ধকার জগতে পরিণত হবে। তখন আমরা নতুন করে উপলব্ধি করবো ঈর্ষা, বিদ্বেষ, অবিশ্বাস, অসহিষ্ণুতার মতো মানসিকতা নিয়ে জীবন চলতে পারেনা। বরং নিজ কর্মের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা, ভক্তি ও বিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে।

এভাবেই পৃথিবীতে আবারও ফিরে আসবে নতুন যুগ – সত্যযুগ।

আরো পড়ুনঃ হিন্দু ব্যতীত শুধু শিখরাই কেন পুরীর জগন্নাথ মন্দির প্রবেশ করতে পারে?

Related Articles

Leave a comment

Back to top button
error: Content is protected !!