বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশিত। এই রিপোর্ট জানাচ্ছে পাকিস্তান সরকারের উদাসীনতায় ধ্বংস হতে বসেছে সেদেশের একাধিক মন্দির। পাঁচই ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পাক সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় ডঃ শোয়েব শাডল কমিশন। সেখানেই পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরগুলির করুণ অবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য পাক মন্দিরগুলির হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে একটি কমিশন গঠন করেছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিশনের রিপোর্টই জমা পড়েছে এদিন।যে যে মন্দিরের পরিস্থিতি বেশ খারাপ, তার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। জানানো হয়েছে পাক সরকারের উদাসীনতাতেই এই সমস্যা।
মিডিয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে, এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার দুষ্কৃতী হামলার শিকার হতে হয়েছে পাকিস্তানে অবস্থিত মন্দিরগুলিকে। ২০১৯ সালেও একাধিক মন্দির ভাঙা হয়েছে পাকিস্তানে। সেপ্টেম্বর মাসের সেই ঘটনায় তীব্র বিতর্কের মুখে পড়তে হয় পাক প্রশাসনকে। তবে তাতে যে বিশেষ লাভ হয়নি, তা বলাই বাহুল্য। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসেও তিন চার বার মন্দির ভেঙে ফেলার ঘটনা সামনে এসেছে বলে জানিয়েছে ওই রিপোর্ট।
সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা পাকিস্তানে নতুন নয়। দিন কয়েক আগেও গিলগিট বালটিস্তান এলাকা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে যোগ্য উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে পাকিস্তান বলে ব্যাখ্যা করেছিল ভারত।
আরো পড়ুনঃ ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাম মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে অযোধ্যা রেল স্টেশন
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি অ্যাট হিউম্যান রাইটস রেকর্ড পবন বাধে জানিয়ে ছিলেন পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যারা অসহিষ্ণুতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেই ঐতিহ্য তৈরি করছে।পবন বাধে বলেছিলেন পাকিস্তানের সংস্কৃতি সন্ত্রাসবাদের। এই দেশের চরিত্র সবাই চেনে। তাই নতুন করে কিছু বলার নেই। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার ভারত পাকিস্তান স্বরূপ তুলে ধরেছে। সমর্থনও পেয়েছে বহু দেশের। তবু পাকিস্তানের চেহারা বদলায়নি। সেই তথ্যই ফের প্রমাণ করল পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের নিয়োজিত কমিশনের রিপোর্ট।
রিপোর্টে উল্লেখিত ধ্বংসের মুখে যে যে মন্দির, শ্রী হিংগলাজ মাতা মন্দির, শ্রী রামদেবপীর মন্দির, উমরকোট শিব মন্দির, ছুড়িও জাবাল দুর্গা মাতা মন্দির, শ্রী পরম হংসজী মহারাজ মন্দির, গুরু বালপুরি আশ্রম।
আরো পড়ুনঃ মুসলিম দেশ ইরানে হিন্দু ধর্ম
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মন্দিরগুলির অবস্থাও তথৈবচ। রিপোর্টে এখানকার যে মন্দিরগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি হল, ভিমবেরের শিব মন্দির, কোটলির বনগঙ্গার মন্দির, মীরপুরে বাবা বালাজি মন্দির, মীরপুরের রঘুনাথ মন্দির, মীরপুরের শিবালা মন্দির, মুজফফরাবাদের সীতা রাম মন্দির, শারদার সারদা পীঠ।
রিপোর্ট জানাচ্ছে সিন্ধ প্রদেশে আগে যেখানে ৪২৮টি মন্দির ছিল, সেখানে পাক প্রশাসনের বদান্যতায় ২০টি মন্দিরে এসে ঠেকেছে। রীতিমতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানে।
আরো পড়ুনঃ সোনারং জোড়া মঠ ও শ্যামসিদ্ধির মঠ – উপমহাদেশের সর্বোচ্চ মিনার