মন্দির

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে খুলে দেয়া হচ্ছে মায়াপুরের চন্দ্রোদয় মন্দির

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে মায়াপুরের চন্দ্রোদয় মন্দির পূণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। ইসকনের সদর দপ্তর মায়াপুরে প্রায় এক লক্ষ স্কয়ার ফুট জায়গা নিয়ে তৈরী হয়েছে চন্দ্রোদয় মন্দির। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে জনসাধারণের জন্য এই মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়া হবে। এখন এই  মন্দিরের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।

৩৫ তলা বাড়ির সমান উচু চন্দ্রোদয় মন্দির বিশ্বের সবচেয়ে উচু হিন্দু মন্দির। ভারতীয় স্থাপত্যের অনন্য এই নিদর্শন মিশরের পিরামিডের চেয়েও অনেক উচু। আমেরিকার ফোর্ড মোটর কোম্পানীর চেয়ারম্যান আলফ্রেড ফোর্ড জানিয়েছেন এই মন্দির নির্মাণে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের রহস্যময় পুঠিয়া মন্দিরের অজানা কাহিনী

এই মন্দির কমপ্লেক্সকে বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়াম নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। যখন এই মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয় তখন মায়াপুর প্রজেক্ট সোসাইটি নামে একটি চ্যারিটেবল বডি গঠন করা হয়। যার ডিরেক্টর হলেন আলফ্রেড ফোর্ড।

এই বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়ামের স্থাপত্যরীতি উত্তর ভারতীয় নাগারা এবং ওড়িশার কলিঙ্গ স্থাপত্যরীতির মিশেলে তৈরী করা হয়েছে। চন্দ্রোদয় মন্দিরে তিনটি গম্বুজ রয়েছে যা অনেক দূর থেকে দৃশ্যমান হয়। ভাগীরথীর ওপর পাড় অর্থাৎ নবদ্বীপ থেকেও চন্দ্রোদয় মন্দিরের চূড়া দেখতে পাওয়া যায়।

চন্দ্রোদয় মন্দির মায়াপুর
মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরের ত্রিমাত্রিক প্রতিরূপ

এই মন্দির কমপ্লেক্সে প্রথমেই থাকবে এক্সিভিশন হল। এই এক্সিভিশন হল নয় তলা উচ্চতার সমান হবে। এখানে একটি প্ল্যানেটেরিয়ামও থাকবে।

আরো পড়ুনঃ ভারতের একমাত্র রহস্যময় জাদু মন্দির, যেখানে ভূতের দেখা পাওয়া যায়!

এরপর থাকবে একটি কীর্তন হল। আঠারো তলা উচ্চতা বিশিষ্ট কীর্তন হলে অবস্থান করবেন স্বয়ং শ্রীল প্রভুপাদ। তৃতীয় স্ট্রাকচার হলো ৩৫ তলা উচ্চতা বিশিষ্ট শিখারা বা শিখর। এতেই থাকবে মন্দিরের মূল অংশ। 

চন্দ্রোদয় মন্দিরের নির্মাণ কাজে কোন স্টিল ব্যবহার করা হয়নি। গঙ্গা থেকে উত্তোলিত মাটি দিয়ে এক বিশেষ ধরণের ইট তৈরী করা হয়েছে। সেই ইটের গাঁথুনি দিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে মন্দিরের দেয়াল। বাংলার আদি স্থাপত্যকর্মগুলো এই মাটি দিয়েই বানানো হতো।

মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির
মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দির

মন্দিরটি গঙ্গা থেকে পাঁচ মিটার উচ্চতায় তৈরী করা হয়েছে। মাটিতে রয়েছে ২.৫ মিটার পুরু কংক্রিট স্লাব যা চার একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত থাকবে। ফলে মন্দিরটি কাদা মাটি থেকে রক্ষা পাবে। ফলে মন্দিরের স্থায়ীত্ব আরো দীর্ঘ হবে।

মায়াপুরের চন্দ্রোদয় মন্দির দর্শনের নিমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।

আরো পড়ুনঃ প্রাম্বানান মন্দির: মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়ার জাভায় হাজার বছরের পুরনো শিব মন্দির

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!