বিয়ে পরবর্তী চরম সুখ পাচ্ছেন না? আপনার নাড়ি দোষ নেই তো?
কুণ্ডলী (Kundli)বা জ্যোতিষে ৩৬টি বিষয় বা গুণ মিলিয়ে দেখা হয়। এই ৩৬টি গুণের মিল-অমিলের ওপর নির্ভর করে পাত্র-পাত্রীর বৈবাহিক জীবন কেমন হবে!
Nadi Dosha on Marriage: নাড়ি দোষ হচ্ছে বিয়েতে এক ধরণের ত্রুটি। এই ত্রুটি থাকলে দাম্পত্য জীবন সুখের হয়না। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই নানা ধরণের অসুখ ও সমস্যা লেগে থাকে।
সনাতন ধর্মে বিয়ের আগে কোষ্ঠি বিচারের রীতি অনেক পুরনো। কোষ্ঠী বিচারের মাধ্যমে দেখা হয় পাত্র-পাত্রী একে-অপরের জন্য উপযুক্ত কিনা। সুস্থ ও সুখী বিবাহিত জীবন হবে কিনা তা জানার জন্য কোষ্ঠীতে নাড়ি দোষ (Nadi Dosha) রয়েছে কিনা জেনে নেয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কুণ্ডলী (Kundli)বা জ্যোতিষে ৩৬টি বিষয় বা গুণ মিলিয়ে দেখা হয়। এই ৩৬টি গুণের মিল-অমিলের ওপর নির্ভর করে পাত্র-পাত্রীর বৈবাহিক জীবন কেমন হবে!
এতোক্ষণে আপনাদের মনে নিশ্চয় প্রশ্ন জেগেছে, নাড়ি দোষ আসলে কী? চলুন জেনে নিই নাড়ি দোষ কি?
নাড়ি দোষ কী?
জন্মছকে বিশেষ নক্ষত্রে চন্দ্রের উপস্থিতি মূল্যায়নের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির নাড়ি দোষ নির্ণয় করা যায়। নাড়ির তিনটি উপাদান— আদি নাড়ি (বায়ু), মধ্য নাড়ি (আগুন) ও অন্ত নাড়ি (জল)। এই তিনটি উপাদানই একজন ব্যক্তির স্বভাব-প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে। জাতকের নাড়ি দোষ পেলে বুঝা যায় এই তিনটি উপাদানেও সমস্যা আছে। ফলে নাড়ি দোষে দুষ্ট পাত্র-পাত্রীর মধ্যে বিয়ে হলে নবদম্পতির মধ্যে নানা ধরণের মানসিক ও দৈহিক সমস্যা দেখা দেয়।
নাড়ি দোষের কুপ্রভাব
- নব দম্পতি একে-অপরের প্রতি কম আকর্ষণবোধ করতে পারেন। ফলে সম্পর্কে গভীরতা আসেনা।
- স্বামী-স্ত্রী একে-অপরকে অযথাই সন্দেহ করতে পারেন।
- সাধারণত এদের মধ্যে যেকোন বিষয়ে মতের মিল হয়না।
- স্বামী-স্ত্রীর কোন একজন বদমেজাজী হন এবং অল্পতেই মেজাজ হারান।
- এ ধরণের বিয়েতে সম্পর্কেছেদেরও সম্ভাবনা থাকে।
- স্বামী-স্ত্রীকে প্রায়ই বিভিন্ন রোগ ভোগ করতে হয়।
- সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। সন্তান জন্মালেও শিশুর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকে।
নাড়ি দোষ কাটানোর উপায়
ইতিবাচক চিন্তা: পরমেশ্বর ভগবানের নাম জপ করুন ও ভালো মানুষের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার জীবন হবে ইতিবাচক, সুখী ও সমৃদ্ধ। ইতিবাচক মানসিকতার কারণে মন শান্ত থাকবে। ফলে স্বামী-স্ত্রী তুচ্ছ বিষয়ে কলহ এড়াতে পারবেন।
মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র: মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রএকটি সর্বরোগ হরণকারী শক্তিশালী মন্ত্র। মহাদেব শিবের স্মরণে রচিত এই মন্ত্র নিয়মিত জপ করলে নাড়ি দোষের কুপ্রভাব কাটানো যায়।
ওঁ ত্র্যম্বকম্ যজামহে সুগন্ধিম্ পুষ্টিবর্ধনম্।
উর্বারুকমিব বন্ধনান্ মৃত্যোর্মুক্ষীয় মাঽমৃতাৎ।।
নাড়ি দোষ কাটাতে বিশেষ পূজা: দক্ষ পুরোহিতের মাধ্যমে নির্বাণ পূজা করলে নাড়ি দোষ কাটানো যায়।
সঠিক রত্ন ধারণ: নাড়ি দোষ এড়ানোর জন্য উপযুক্ত রত্ন ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। সঠিক রত্ন ধারণের ফলে নাড়ি দোষের নেতিবাচক প্রভাব এড়ানো যায়।
খাদ্য দান: গরীব ও দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্য দান, স্বর্ণ দান ও বস্ত্র দান করলেও নাড়ি দোষ কাটে।