এবার দোলের একমাস আগেই শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব, প্রবেশাধিকার নেই বহিরাগতদের
এবার দোলের একমাস আগেই শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব, প্রবেশাধিকার নেই বহিরাগতদের!
দোল পূর্ণিমার দিনে বসন্ত উৎসব হয়, এটাই শান্তি নিকেতনে এতোদিনকার নিয়ম। তবে এবার সেই নিয়ম ভঙ্গ হতে চলেছে। ২০২০ সালের বসন্ত উৎসব শুধুমাত্রা বিশ্বভারতী পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অর্থাৎ বহিরাগত কেউ আর শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসবে অংশ নিতে পারবেন না। এবার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া এবারের বসন্ত উৎসবের তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে। দোল পূর্ণিমা ২০২০ বা হোলি ২০২০ পালিত হবে ১০ মার্চ, আর শান্তি নিকেতনে বসন্ত উৎসব হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ বসন্ত উৎসব প্রায় ২০ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
পৌষমেলা নিয়ে টালবাহানার পর এবার ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব নিয়েও শুরু হলো বিতর্ক। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অবশ অনেক আগে একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ মার্চ দোল হলেও বসন্ত উৎসব হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ প্রায় ২০ দিন আগে।
বসন্ত উৎসবকে ঘিরে প্রতিবছরই শান্তি নিকেতনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। গত বছরও বসন্ত উৎসবে ভিড়ের চাপে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনার প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাই এবার দোল উৎসব থেকে আলাদা করে দেয়া হলো বসন্ত উৎসবকে।
প্রতি বছরই বসন্ত উৎসবকে ঘিরে কিছু না কিছু বিশৃঙ্খলা ঘটে। গত বছরেও বসন্তোৎসবে ভিড়ের চাপে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্বভারতী। এই সব কারণেই বসন্ত উৎসবকে একেবারে বিশ্বভারতীর নিজস্ব অনুষ্ঠানে পরিণত করার কথা ভাবনায় আসে। সেই সঙ্গে দোলের উৎসব থেকে আলাদা করে দেওয়া হল বসন্ত উৎসবকে।