ভারতের এই গুহায় বসে মহাভারত লিখেছিলেন ব্যাসদেব! আপনিও যেতে পারেন সেখানে!
বিশাল ভারতবর্ষের পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে বিষ্ময়জাগানিয়া নানা জায়গা। ভারতের এমন কিছু জায়গা রয়েছে যা আজও বেশীরভাগ মানুষের কাছে অজানা। তেমনই একটি স্থান হলো উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ব্যাস গুহা।
উত্তরাখণ্ডে ‘মানা’ নামক একটি গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামকে ‘হিন্দুস্তানের শেষ গ্রাম’ নামে অভিহিত করা হয়। এই গ্রামেই রয়েছে একটি বিষ্ময়কর গুহা। স্থানীয়দের কাছে গুহাটি ব্যাস গুহা নামে পরিচিত। প্রচলিত বিশ্বাস মতে, এই গুহাতেই নাকি কয়েক হাজার বছর আগে বাস করতেন মহাঋষি বেদব্যাস।
আরো পড়ুনঃ সৌভাগ্যকে নিজের কাছে বেঁধে রাখতে পবিত্র ভাদ্র মাসে এই কাজগুলি করুন
অনেকে বিশ্বাস করেন এই গুহাতে বসেই মহাভারত রচনা করেছিলেন বেদব্যাস। এখানেই নাকি স্বয়ং গণেশ বেদব্যাসকে মহাভারত রচনায় সহযোগীতা করেছিলেন।
এই গুহার ছাদটি বেশ অদ্ভুত, আর এটি এর প্রধান আকর্ষণ। ছাদটি দেখলে মনে হয়, কোন বিশাল পুঁথি যেন এখানে প্রস্তরীভূত হয়ে আছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস বেদব্যাস বিশাল মহাভারতের কিছু অংশ কাউকে জানতে দিতে চাননি। তাই সেই কয়েকটি পৃষ্ঠা এখানে প্রস্তরীভূত করে ফেলেন।
সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৬১০ মিটার উচ্চতায় এই স্থানটি অবস্থিত। ব্যাস গুহার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুতলেজ নদী। চার ধামের অন্যতম বদ্রীনাথ থেকে এই গুহাটি একদম কাছে। কেউ বদ্রীনাথ বেড়াতে গেলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন ব্যাস গুহা।
আরো পড়ুনঃ একজন নারী কী গুরু হতে পারেন? নারীরা কী দীক্ষা দান করতে পারেন?
গুহার পাশেই রয়েছে পাইন ও জুনিপার বন। বছরের একটা দীর্ঘ সময় গুহা সংলগ্ন পাহাড় বরফে ঢেকে থাকে। এডভাঞ্চারপ্রিয় মানুষেরা ক্লাইম্বিং ও প্যারা গ্লাইডিং এর জন্য ভীড় জমান এখানে।