প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের গায়ে কীভাবে এলো ডায়নোসরের ভাস্কর্য?
প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের গায়ে ডায়নোসরের ভাস্কর্য!
যখন পৃথিবীতে মানুষের কোন অস্তিত্ব ছিলনা, তখনই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল অতিকায় ডায়নোসররা। মানুষ ও ডায়নোসরের কখনও সাক্ষাৎ হয়নি, বিজ্ঞান অন্তত সেটাই বলছে। কিন্তু একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের গায়ে কীভাবে ডায়নোসরের ভাস্কর্য এলো সে প্রশ্নের উত্তর আজও অজানাই থেকে গেছে।
সেই আশ্চর্য মন্দিরটি হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার বিখ্যাত আঙ্করভাট মন্দির। খ্রিষ্টীয় ১২ শতকে নির্মিত এই মন্দিরটি প্রাথমিক অবস্থায় ছিল একটি হিন্দু মন্দির। তৎকালীন কম্বোজ শাসন করতো খেমের বংশ। তারা ছিল ভগবান বিষ্ণুর উপাসক। সেই বংশের রাজা সূর্যবর্মণের শাসনামলে আঙ্করভাট মন্দির নির্মিত হয়। প্রচলিত ভাষায় আঙ্করভাট শব্দের অর্থ মন্দির নগরী।
আরো পড়ুনঃ আফ্রিকার দেশ কঙ্গো-তে হিন্দু ধর্ম যেভাবে বিস্তার লাভ করলো!
আঙ্করভাট মন্দিরের গা জুড়ে রয়েছে হাজারো ভাস্কর্য। তার মধ্যে একটি অদ্ভুত ভাস্কর্য দেখা যায়। ভাস্কর্যটিতে দেখা যায় পিঠে কাঁটাওয়ালা তৃণভোজী ডাইনোসর স্টেগোসরাসের প্রতিকৃতি। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৮৭৭ সালে স্টেগোসরাসের জীবাশ্ম প্রথম আবিস্কৃত হয় আমেরিকার কলোরাডোয়।
আশ্চর্যের বিষয় হলো বৈজ্ঞানিকভাবে এই প্রজাতি আবিষ্কারের অন্তত ৬০০ বছর আগে কী করে তুলনামূলক অনগ্রসর এক জনপদে উঠে এলো ডায়নোসরের অবয়ব। এটা কী শুধুই কল্পনা, নাকি সে যুগেও কম্বোডিয়ার মানুষ ডায়নোসরের অস্তিত্ব সম্পর্কে অবহিত ছিল? সেই রহস্যের পর্দা আজও ভেদ হয়নি। কেবল আঙ্করভাট দাঁড়িয়ে আছে বিস্ময়ের ভাণ্ডার নিয়ে।
আরো পড়ুনঃ মসজিদকে পাশে নিয়ে হাজার বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির