কালো বিড়ালকে কেন অশুভ বিবেচনা করা হয়?
পশ্চিমা বিশ্বে কালো বিড়াল আধিভৌতিক ও অশুভ প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। ইউরোপ-আমেরিকার সাহিত্য, রূপকথা ও উপকথায় কালো বিড়ালকে অশুভ শক্তির প্রতীক হিসাবে দেখানো হয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকে। তবে পশ্চিমা বিশ্বের বাইরেও সমগ্র বিশ্বজুড়েই কালো বিড়ালকে নিয়ে তৈরী হয়েছে অজস্র অলৌকিক গল্প ও কাহিনী।
কালো বিড়াল নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। বিভিন্ন গল্প-উপন্যাস থেকে জানা যায়, আগের দিনে যখন গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল, তখন কালো বিড়াল রাস্তা পার হলে গরুদের মধ্যে এক ধরণের অস্থিরতা লক্ষ্য করা যেত। ফলে গাড়োয়ান গরুদের শান্ত করতে কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থামিয়ে দিত। কালক্রমে এই রেওয়াজই কুসংস্কারে পরিণত হয়। অনেক সময় গাড়ির সামনে দিয়ে কালো বিড়াল চলে গেলে গাড়ি থামিয়ে দেওয়া হয়। অনেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে আসেন। কেউ আবার গাড়ির কাচে ক্রস চিহ্ন আঁকেন।
আমাদের সমাজে প্রচলিত ধারণা, যেকোন শুভ কাজে যাত্রার সময় কালো বিড়ালের দেখা পেলে তা অশুভ ইঙ্গিত প্রদান করে। মানুষের মনে এই কুসংস্কার এতোটাই বদ্ধমূল যে, অনেকে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যান, কেউ কেউ আবার খানিকটা অপেক্ষা করে পুণরায় যাত্রা শুরু করেন।
আরো পড়ুনঃ প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের গায়ে কীভাবে এলো ডায়নোসরের ভাস্কর্য?
তবে বিজ্ঞানমনস্ক যুক্তিবাদী মানুষের মতে এটি কুসংস্কার নয়। তাদের মতে এটি একটি সামাজিক প্রথা। তাদের বক্তব্যমতে, রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার অথবা হেঁটে যাওয়ার সময় কোনও বিড়াল রাস্তা পার হলে, তখন গাড়ি বা মানুষ দাঁড়িয়ে পড়ে। তার প্রকৃত কারণ হিসেবে ধরা হয় যে, সাধারণত, বিড়াল জাতীয় প্রাণীদের অন্য বড় আকৃতির পশুরা তাড়া করে। সেক্ষেত্রে বিড়ালকে দেখার পর একটু দাঁড়িয়ে গেলেই ভালো হয়। তাহলে বিপদের সম্ভাবনা কম থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাড়িতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের সময় ভুল করেও এই সব জিনিস ব্যবহার করবেন না