পাঁচমিশালি সবজির শুকতানি
এখন থেকে সনাতন পন্ডিতের আয়োজনে, প্রতি সপ্তাহে একটি করে নিরামিষ খাবারের রেসিপি দেয়া হবে। এই সিরিজের প্রথম রেসিপিতে আজ পাঁচমিশালি সবজির শুকতানি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
পাঁচমিশালি সবজির শুকতানি রেসিপি
উপকরণ
মূলো ২টা, আলু ২টা, পটল ২টা, বরবটি বড় সাইজের ৩/৪টা, শিম ২/৩টা, থোর সামান্য, পেঁপে আধ খানা, কাঁচকলা ১টা (বড় সাইজের), কুমড়ো সামান্য।
মোট কথা যতো বেশী রকমের সবজি দেয়া যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে উচ্চে বা অন্য কোন তেতো সবজি বা বস্তু দেয়া যাবেনা। মূলোর পরিমাণ বেশী হতে হবে। কেননা এই শুকতানির বৈশিষ্ট্য হলো এটা। শীতকালে অনেক রকম সবজি পাওয়া যায়। শীতের সেই সবজিগুলোও এই শুকতানিতে ব্যবহার করা যাবে।
আর লাগবে পরিমাণমতো লবণ, হলুদ, আদা বাটা, কুড়ানো নারকেল, সরষে বাটা, কৃষ্ণ তিল বাটা, তেল, বড়ি ও চিনি। এখানে উল্লেখ্য সবগুলো উপাদানই পরিমাণমতো ও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।
পাঁচমিশালী সবজির শুকতানি তৈরীর প্রক্রিয়া
প্রথমে আলাদা আলাদা করে প্রত্যেকটি সবজি কেটে ভেজে নিতে হবে। ছোট ছোট করে কাটবেন। এতে ভাজতে সুবিধা হবে।
এবার কড়াইতে ২ চামচ তেল দিন। ওতে সরষে ফোড়ন দিন, তারপর সবগুলো সবজি ঢালুন। লবণ, হলুদ, একটু চিনি, আদাবাটা দিয়ে বেশ করে নাড়াচাড়া করতে থাকুন, ভাজা হলে পরিমাণমতো জল দিন। সেদ্ধ হতে দিন, একটু গা মাখা হবে।
এবার এতে কুড়ানো নারকেল দিন। নাড়াচাড়া করে নামাবার সময় তিল বাটা দিতে পারেন, চাইলে সরষে বাটাও দিতে পারেন। এবার এতে আগে থেকে ভেজে রাখা বড়ি দেবেন। বড়ির গন্ধই আলাদা।
এমন উপাদেয় শুকতানি দিয়ে ভাত মাখলে মন-প্রাণ ভরে যাবে। এই শুকতানি শরীরের পক্ষে বেশ ভালো। এছাড়া এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।