জ্যোতিষকথাহিন্দু ধর্মের অজানা কাহিনী

জেনে নিন কীভাবে তিথি গণনা করা হয়? তিথি পরিচয় – পর্ব ২

জেনে নিন কীভাবে তিথি গণনা করা হয়? তিথি পরিচয় – পর্ব ২

তিথি পরিচয় ১ম পর্ব

প্রথম পর্বে আমরা একাদশী সম্পর্কে জেনেছিলাম। প্রতি মাসের শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষে একটি করে মোট দুইটি একাদশী, এভাবে ১ বছরে মোট ২৪ টি একাদশী।

এই ২৪ টি একাদশীর আবার আলাদা আলাদা নাম আছে। এগুলো হচ্ছে; ১। বরুথিনী ২। মোহিনী ৩। অপরা ৪। পান্ডবা ৫। যোগিনী ৬। শয়ন ৭। কামিকা ৮। পবিত্রারোপিণী ৯। অন্নদা ১০। পার্শ্বৈ ১১। ইন্দিরা ১২। পাশাঙ্কুশা ১৩। রমা ১৪। উত্থান ১৫। উৎপন্না ১৬। মোক্ষদা ১৭। সফলা ১৮। পুত্রদা ১৯। ষটতিলা ২০। ভৈমী, জয়া ২১।বিজয়া ২২। আমলকী ২৩। পাপমোচনী ২৪। কামদা।

আরো পড়ুনঃ কলকাতা শহরের যে কালী মন্দির পরিচালনা করেন চীনারা!

এছাড়াও কোনো কোনো বছরে অতিরিক্ত দুইটি একাদশী হয় যদি ঐ বছরে অধিমাস বা পুরুষোত্তম মাস থাকে, তাহলে। সেক্ষেত্রে শুক্লপক্ষের পদ্মিনী একাদশী আর কৃষ্ণপক্ষে পরমা একাদশী পালন করা হয়।

একাদশীকে আবার হরিবাসর তিথি বা মাধব তিথি বলা হয়। মাধব দ্বারা বুঝানো হয় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে, আর তিথি মানে হচ্ছে বিশেষ সময়।

অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যে তিথি সবচেয়ে প্রিয় তাই হচ্ছে মাধব তিথি। জগতের সকল জীবের কল্যানের জন্যে ভগবান এই তিথিতে একাদশী রূপে আবির্ভূত হন। আর তাই সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভগবানের সন্তুষ্টির জন্যে এই একাদশী তিথি বিশেষভাবে উদযাপন করেন। একাদশীকে সমস্ত ব্রতের মধ্যে উত্তম ব্রত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আমাদের এই পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। আবার পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে চাঁদ। চাঁদের আবার নিজস্ব কোন আলো নেই। এইরকম ঘুরে চলতে চলতে যখন পৃথিবী চাঁদ ও সূর্যের মাঝামাঝি চলে আসে, সেদিন সূর্যের আলো চাঁদের যেই পিঠে পড়ে সেইদিকটা পৃথিবী থেকে পুরোপুরি দেখা যায়। এই ঘটনাকে বলা হয় পূর্ণিমা।

আবার, চাঁদ যখন ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি চলে আসে, তখন সেইদিন সূর্যের আলো চাঁদের যে পিঠে পড়ে পৃথিবী থেকে সেই পাশটা দেখা যায় না, অধকার দিকটা পৃথিবীর পাশে পড়ে। ফলে আমরা ওই রাতে চাঁদকে অন্ধকার দেখি। এ ঘটনাকে বলা হয় অমাবশ্যা। প্রতি চন্দ্রমাসেই পূর্ণিমা ও অমাবস্যা হয়ে থাকে।

জেনে নিন কীভাবে তিথি গণনা করা হয়? তিথি পরিচয় – পর্ব ১

Related Articles

Leave a comment

Back to top button
error: Content is protected !!