জেনে নিন কীভাবে তিথি গণনা করা হয়? তিথি পরিচয় – পর্ব ১
জেনে নিন কীভাবে তিথি গণনা করা হয়? তিথি পরিচয় – পর্ব ১
সনাতন হিন্দুশাস্ত্রে তিথি গণনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আজকের আয়োজনে চলুন জেনে নিই তিথি গণনা সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩০ দিন। এই প্রদক্ষিণের সময় চন্দ্র ক্রমশ দৃশ্যমান হতে হতে ঠিক ১৫তম দিনে সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হয়। একে আমরা পূর্ণিমা বলি। আবার এর ঠিক ১৫ দিন পর আমরা চন্দ্রকে আর দেখতে পাই না। এ ঘটনাকে বলা হয় অমাবস্যা।
তাহলে প্রতিপদ বিষয়টি কি? এই যে চন্দ্রের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটছে, তাকে আমরা প্রতি একক সময়ে হিসাব করলে যে সময় পাবো তাই হচ্ছে প্রতিপদ। অর্থাৎ যে একক সময়ে চন্দ্রের হ্রাস-বৃদ্ধি হচ্ছে তাই প্রতিপদ।
আরো পড়ুনঃ নতুন কাজ শুরুর আগে মেনে চলুন চাণক্যের এই চারটি নীতি
অমাবস্যার পরের দিন থেকেই প্রতিপদ গণনা শুরু হয়। প্রতিপদ থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত ১৫ দিন শুক্ল পক্ষ এবং পূর্ণিমার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত ১৫ দিন কৃষ্ণ পক্ষ নামে পরিচিত।
শুক্ল পক্ষের তিথির নাম- ১) প্রতিপদ, ২) দ্বিতীয়া, ৩) তৃতীয়া, ৪) চতুর্থী, ৫) পঞ্চমী, ৬) ষষ্ঠী, ৭) সপ্তমী, ৮) অষ্টমী, ৯) নবমী, ১০) দশমী, ১১) একাদশী, ১২) দ্বাদশী, ১৩) ত্রয়োদশী, ১৪) চতুর্দশী ও ১৫) পূর্ণিমা।
কৃষ্ণ পক্ষের তিথির নাম- ১৬) প্রতিপদ, ১৭) দ্বিতীয়া, ১৮) তৃতীয়া, ১৯) চতুর্থী, ২০) পঞ্চমী, ২১) ষষ্ঠী, ২২) সপ্তমী, ২৩) অষ্টমী, ২৪) নবমী, ২৫) দশমী, ২৬) একাদশী, ২৭) দ্বাদশী, ২৮) ত্রয়োদশী, ২৯) চতুর্দশী ও ৩০) অমাবস্যা।
তিথিসমূহকে আবার পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথাক্রমে- নন্দা, ভদ্রা, জয়া, রিক্তা ও পূর্ণা। প্রতিপদ, ষষ্ঠী ও একাদশীকে নন্দা; দ্বিতীয়া, সপ্তমী ও দ্বাদশীকে ভদ্রা; তৃতীয়া, অষ্টমী ও ত্রয়োদশীকে জয়া; চতুর্থী, নবমী ও চতুর্দশীকে রিক্তা এবং পঞ্চমী, দশমী, অমাবস্যা ও পূর্ণিমাকে পূর্ণা বলে।
এখন আমরা একাদশী সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি। একাদশী শব্দটি সংস্কৃত। বৈদিক দিনপঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি মাসের দুইটি পক্ষের ১১তম দিবসে তা পালিত হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে কমপক্ষে দুইটি একাদশী পালিত হয়। এভাবে এক বছর অর্থাৎ ১২ মাসে মোট ২৪ টি একাদশী।
আরো পড়ুনঃ পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে প্রথমবারের মতো নির্মাণ হচ্ছে হিন্দু মন্দির