তামিলনাড়ুর এই দেবতার দর্শন পেতে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে ৪০ বছর
ভারতের দক্ষিনী রাজ্যগুলোতে অবস্থিত মন্দিরগুলোর বেশীরভাগই বিভিন্ন রহস্য ও রোমাঞ্চে ভরপুর। ভারতের রহস্যময় মন্দির গুলোর একটি তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমের অথি বরাদার মন্দির। এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা ৪০ বছরে মাত্র একবার দর্শন দেন।
২০১৯ সাল ছিল তেমনই একটা বছর। গত ১ জুলাই থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত অতি বরাদারের দর্শন পেয়েছেন ভক্তরা। সারা বিশ্ব থেকে অগণিত ভক্ত এই সময় কাঞ্চিপুরমে ভিড় করেন অথি বরাদারের দর্শন লাভ করতে।
কিন্তু কেন এই দেবতা ৪০ বছরে মাত্র একবার ভক্তদের দর্শন দেন? অথি বরাদার ভরদ্বাজের চার অবতারের অন্যতম, যাঁকে ব্রহ্মা পুজো করেন। সত্য যুগে খোদ দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা ফিগ গাছের কাঠ দিয়ে অথি বরাদারের মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন। ১৬শ শতাব্দীর শুরুতে মুসলিম আগ্রাসনের আগ পর্যন্ত কাঞ্চি বরদরজা পেরুমল এই বিগ্রহের পুজো করতেন। পরে এই বিগ্রহটি মন্দিরের পাশের পুকুরে লুকিয়ে রাখা হয়।
আরো পড়ুনঃ বেলুড় মঠে গিয়ে কী কী দেখবেন এবং কীভাবে যাবেন?
দীর্ঘ ৪০ বছর এভাবেই পুকুরের জলে লুকিয়ে রাখা ছিল বিগ্রহটি। মন্দিরে কোনও বিগ্রহ না থাকায় দীর্ঘ ৪০ বছর অথি বরাদারের কোনও পুজো হয়নি। পরে অথি বরাদারকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আসল বিগ্রহটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে পদ্মগিরি থেকে পাথরের তৈরি একটি অথি বরাদারের মূর্তি আনানো হয়।
১৭০৯ সাল নাগাদ পুকুরের জল শুকিয়ে যায় এবং অথি বরাদারের মূর্তির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ৪০ বছর পর বিগ্রহটি খুঁজে পাওয়া যাওয়ায়, মন্দির কর্তৃপক্ষ স্থির করেন যে, এবার থেকে ৪০ বছর পর পর ৪৮ দিনের জন্য আসল মূর্তিটিকে বাইরে সর্বসমক্ষে আনা হবে। সেই থেকে আজ অবধি এই রীতি মেনে চলা হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শিবলিঙ্গ রয়েছে নদিয়ার রাজরাজেশ্বর শিব মন্দিরে
ভারতের রহস্যময় মন্দির গুলোর মধ্যে আরেকটি বিখ্যাত মন্দির হলো পদ্মনাভস্বামী মন্দির। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই মন্দিরের সম্পদ পাহারা দেন স্বয়ং নাগরাজ। পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের রহস্যময় কাহিনী জানতে দেখতে পারেন আমাদের এই প্রতিবেদন।