ভারতের এই শিব মন্দিরের নন্দী মূর্তিটি প্রতি বছর একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে!
ভারতবর্ষ মন্দিরের দেশ। এ দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে এমন অনেক মন্দির, যেখানে আজও এমন কিছু ঐশ্বরিক ঘটনা ঘটে, যার ব্যাখ্যা দেয়া বেশ কঠিনই।
ভারতের রহস্যময় মন্দির এর মধ্যে এমন একটি মন্দির হলো, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী উমা মহেশ্বরা মন্দির যগন্তী। এই মন্দিরে ভগবান শিবের বাহন নন্দীর একটি পাথরের মূর্তি রয়েছে। শোনা যায় এই নন্দী মূর্তি নাকি প্রতি বছর আয়তনে একটু একটু করে বেড়ে ওঠে।
অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুল জেলায় অবস্থিত ভগবান শিবের এই মন্দিরের সৌন্দর্য ও ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন নন্দী দর্শন করতে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই মন্দিরে ভিড় জমান।
স্থানীয়দের মতে, ৫০ বছর আগে নন্দী মূর্তির আকৃতি যা ছিল, বর্তমানে তা অনেকটাই বড়। তাদের বিশ্বাস কোন এক দৈবিক ক্ষমতাতেই নন্দী মূর্তি প্রতিবছর বাড়তে থাকে। আর ঠিক সে কারণে একে জাগ্রত মনে করে পূজা করেন ভক্তরা।
আরো পড়ুনঃ মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়ার জাভায় হাজার বছরের পুরনো শিব মন্দির প্রাম্বানান মন্দির
এই মন্দিরের নন্দীর মূর্তি আসলেই প্রতিবছর বৃদ্ধি পায় কিনা, তা দেখতে নন্দী মূর্তিটি পরীক্ষা করেছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। তাদের মতে, নন্দী মূর্তিটি যে পাথর খোদাই করে বানানো হয়েছে, স্বভাবজাতভাবেই সেই পাথর আয়তনে বাড়ে। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, গত ২০ বছরে নন্দী মূর্তিটি আসলেই এক ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে। এক ঋষির মতে, এই কলি যুগেই নাকি জীবন্ত হয়ে উঠবে মূর্তিটি।
একটি অবাক করা বিষয় হলো, এই মন্দির চত্বরে কখনোই কোন কাক দেখা যায়না। লোকবিশ্বাস যে, ঋষি অগস্ত একবার প্রায়শ্চিত্ত করছিলেন। সে সময় কাকের দল তাঁকে বিরক্ত করছিল। তখন ঋষি অভিশাপ দিয়েছিলেন, এই মন্দির চত্বরে কখনো কাক প্রবেশ করতে পারবে না। মন্দিরের অভ্যন্তরে পুকুরে সারা বছরই জল থাকে। মন্দিরের এক প্রান্তে অগস্ত গুহা নামে একটি গুহা রয়েছে। স্থানীয়দের মতে, এখানেই নাকি শিবের আরাধনায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন ঋষি অগস্ত।
আরো পড়ুনঃ ৫১ শক্তিপীঠের বর্তমান অবস্থান এবং কোথায় সতীর কোন অঙ্গ পড়েছিল জেনে নিন