নেপালের এই জায়গায় এখনো দেখা যায় ভগবান কৃষ্ণের পায়ের ছাপ!

ভগবান কৃষ্ণ! প্রতিকূল পরিবেশেই যার জন্ম! মথুরায় জন্ম নেয়া কৃষ্ণকে, তাঁর মামা অত্যাচারী রাজা কংসের কোপ থেকে বাঁচানোর জন্য তাঁর বাবা বসুদেব রাতের অন্ধকারে গোকুলে রেখে আসেন। পরবর্তীকালে মহামায়ার দৈববাণী “তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে” শুনে কংস বিচলিত হয়ে পড়েন।
শ্রীকৃষ্ণের জীবনী পড়লে আমরা মথুরা, বৃন্দাবন, দ্বারকা এবং গোকুলের কথা জানতে পারি। তবে শোনা যায় কৃষ্ণ নাকি একবার নেপাল গিয়েছিলেন। এমনকি নেপালের কাঠমান্ডু শহরের কপূরধারা এলাকায় রয়েছে স্বয়ং কৃষ্ণের পদচিহ্ন! কথিত আছে যে, আজ থেকে পাঁচ সহস্রাধিক বছর আগে প্রচন্ড খরায় কাঠমান্ডুর কপূরধারা এলাকায় মানব সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটতে যাচ্ছিলো। তখন সেই বিপদ থেকে জীবকূলকে রক্ষা করতে সেখানে হাজির হন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
স্থানীয় বিশ্বাসমতে, ভূমিকে তীর বিদ্ধ করে তিনি জলের ব্যবস্থা করেন। মাটি থেকে বেরুনো সেই জল ছিল কর্পূরের মতো স্বচ্ছ। সেই স্থানে একটি জলাধারও নির্মাণ করেছিলেন কৃষ্ণ। সেই থেকে এই স্থানের নাম হয় কপূরধারা।
আরো পড়ুনঃ শ্রীকৃষ্ণ জীবনের সব থেকে বড় অন্যায় কোন কাজটি করেছিলেন?
প্রাণিকূলকে এই প্রবল ও মারাত্বক খরা থেকে পরিত্রাণের সময় সেখানকার ভূ-পৃষ্ঠে নিজ পদচিহ্ন রেখে গিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই থেকে আজও কাঠমান্ডুর কপূরধারাতে শ্রীকৃষ্ণের পদচিহ্ন পূজিত হয়ে আসছে।

কৃষ্ণের পদচিহ্নের ভিডিও দেখতে পারেন এখান থেকে –